ঢাকারবিবার , ২৪ জানুয়ারি ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে শিম চাষীর মুখে তৃপ্তির হাসি

প্রতিবেদক
Kolom 24
জানুয়ারি ২৪, ২০২১ ৩:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ জেলার সবজি চাষিদের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। এবার জেলায় নতুন ‘বারি-৪’ ও ‘ইপসা-১’ জাতের শিমের ফলন ভালো হয়েছে। ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ কারণে সবজি চাষিরা এবার ভীষণ খুশি।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ৮ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে শীতের সবজি শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, শীতের আগাম বার্তায় কুয়াশায় ভেজা ভোরের আলোতে শিমক্ষেতে কাজ করছেন কৃষক-কৃষানি। জেলার অধিকাংশ কৃষক এবার বেশি করে শিম চাষ করেছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এ শিম সরবরাহ করেন তারা।

চাষিরা জানান, ঢাকা শহরের কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিশোরগঞ্জের শিমের ভালো চাহিদা। অধিকাংশ শিমক্ষেত থেকে তোলার পর বাড়ির উঠানে বা সড়কের পাশে স্তুপ করা হচ্ছে। পরে স্তুপকরা শিম বস্তায় ভরে ওজন দিয়ে মণ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। ক্ষেত থেকে তুলে আনা শিম বাজারে পাইকারি ও খুচরা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকাররা স্থানীয় হাটবাজার থেকে শিম ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছেন। প্রতিদিন শত শত মণ শিম বিক্রি হচ্ছে।

ইটনা উপজেলার মৃগা গ্রামের শহীদুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সারাদিন শিমের মাচায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে বিক্রির পাশাপাশি বীজ উৎপাদন করছেন। তিনি জানান, গত বছর তিনি ছয় হাজার টাকা খরচ করে মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় করেছেন। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চলতি মৌসুমে ১৮-২০ হাজার টাকা খরচে ৬৫ শতাংশ জমিতে উচ্চফলনশীল শিম চাষ করেন। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ শুধু বীজ উৎপাদনের জন্য এবং বাকি ৩৫ শতাংশ জমির শিম সবজি হিসেবে গত এক মাস ধরে বাজারে বিক্রি করছেন।

পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা গ্রামের সবজি চাষি আঃ আজিজ জানান, এ বছর তিনি ৯ হাজার টাকা খরচ করে ৩৩ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তার পুঁজি ওঠে গেছে। বিক্রিও হয়েছে বেশ ভালো। একই গ্রামের চাষি শিকদার জানান, ভালোভাবে শিম ক্ষেতের পরিচর্যা করেছিলেন। যে টাকা খরচা হয়েছিল তার চেয়ে অধিক লভ্যাংশ হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন।

করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল গ্রামের কৃষক আলী ইউনুস জানান, গত কয়েক মাস আগে অবিরাম বর্ষণে তাদের ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিনি শিম চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন।

কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সাইফুল আলম জানান, শিম প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। এর বিচিও সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। তাই এর চাহিদা ব্যাপক। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। শিম চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছে। তাদের মুখে তৃপ্তির হাসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ছবিঃ- সংগ্রহীত।

Comments

comments