ঢাকাশুক্রবার , ১২ মার্চ ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে প্রথমবার বারি আলু-৬৩ চাষ

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ১২, ২০২১ ১১:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত মানের উচ্চফলনশীল আলুর জাত বারি আলু-৬৩। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় চর- জামাইল ব্লকে এই প্রথমবার বারি আলু-৬৩ চাষ করা হয়েছে। কৃষক মোঃ মনতাজ উদ্দিন, রিপন মিয়া ও নজরুল ইসলাম তাদের প্রায় দেড় একর জমিতে এই আলু চাষ করেছেন এবং অত্যন্ত ভালো ফলন পেয়েছেন। হিসেব করে দেখা গেছে প্রতি হেক্টরে গড়ে প্রায় ৪০ টন ফলন হয়েছে।

বৈশিষ্ট্য :

গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৬ টি কান্ড থাকে। গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম। কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মধ্যম। পাতা মাঝারি আকারের ও মধ্যম ঢেউ খেলানো। পাতায় সবুজ রংয়ের আধিক্য মাঝারি এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মধ্যম। পত্রফলক মধ্যম আকারের ও মাঝারি ধরনের চওড়া পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি । মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা বেশি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারি সংখ্যক বড় আকারের উপপত্র দেখা যায়। আলু গোলাকার থেকে খাট ডিম্বাকৃতি ও বড় আকারের। আলুর চামড়ার রং আপেলের মত লাল, চামড়া মসৃন। আলুর শাসের রং হলুদ। চোখ মধ্যম গভীর এবং চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত নয়।

শুষ্ক পর্দাথ: ১৯.২২ (১৭.৯২-২১.৮২%):

অঙ্কুর: অঙ্কুর মাঝারি আকারের ও ওভোয়েড আকৃতির, গোড়ার দিকে খুব বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও হালকা লোমযুক্ত। অগ্রভাগ মাঝারি, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুব বেশি এবং হালকা লোমযুক্ত।
অঙ্কুরোদগম: সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।

জীবন কাল: ৯০-৯৫ দিন

গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪৩.২৯ (৩২.৩০-৫১.৬৭) টন।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য:এ জাতটি খাবার আলু হিসেবে উপযোগী।

উপযোগী এলাকা : সমগ্র বাংলাদেশ।

বপনের সময় : মধ্য-কার্তিক থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (নভেম্বর)মাসে আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়।

মাড়াইয়ের সময়: ৯০-৯৫ দিন পর ।

সার ব্যবস্থাপনা

দেশের বিভিন্ন স্থানে মাটির উর্বরতা বিভিন্ন রকমের, এজন্য সারের চাহিদা সকল জমির জন্য সমান নয়। বাংলাদেশ কৃষি গবষেণা কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত “সার সুপারিশ গাইড” অনুযায়ী বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার করতে হবে। কারণ জমিতে খাদ্য উপাদানের অভাব হলে আলু গাছে ভাইরাস রোগের লক্ষণ সনাক্ত করতে অসুবিধা হয়। এছাড়া কাঙ্খিত ফলনও পাওয়া যায় না। কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই নিম্নলিখিত সারের সুপারিশ করেছে। প্রতি বিঘায়-ইউরিয়া ৪৪-৪৮ কেজি, টিএসপি ২৮-৩০ কেজি, এম‌ওপি ৩৩-৪০ কেজি, জিপসাম ১৪-১৬ কেজি, জিংক সালফেট ১.১০-১.৩৮ কেজি, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ১৯-২১ কেজি, বোরন সার ০১ কেজি ও গোবর ১৩৭৮ কেজি।

সার প্রয়োগ পদ্ধতি:

গোবর ও জিংক সালফেট শেষ চাষের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। অর্ধেক ইউরিয়া, সম্পূর্ণ টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ও বোরন সার রোপনের সময় সারির দুই পার্শ্বে বা জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকী ইউরিয়া রোপনের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয়বার মাটি তোলার সময় উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তবে লাইনের উভয় পার্শে ১০-১২ সেঃমিঃ দূরে লাইন টেনে সার দেওয়া ভাল। এতে সারের সঠিক প্রয়োগ হয়। সার প্রয়োগের পর সাথে সাথে সার ও বীজ মাটি দিয়ে ভেলী তুলে ঢেকে দিতে হবে।

সেচ প্রয়োগ:

বীজ রোপনের পর জমিতে ভাল রস না থাকলে সেচ দেওয়া উত্তম, তবে খেয়াল রাখতে হবে ক্ষেতে কোনভাবেই পানি না দাঁড়ায়। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পানিতে ভেলির ২/৩ অংশ পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। ২-৩ টি সেচ প্রয়োগ করা প্রয়োজন হতে পারে (২০-২৫ দিনের মধ্যে স্টোলন বের হওয়ার সময়, ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে গুটি বের হওয়া পর্যন্ত এবং পরে আলু বৃদ্ধির সময়)। জমি থেকে আলু উঠানোর ৭-১০ দিন পূর্বে মাটি ভেদে সেচ প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। উল্লেখ্য যে, দাঁদ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আলু রোপনের পর ৩০-৫৫ দিনের সময়ে জমিতে কোন অবস্থায় রসের ঘাটতি এবং ৬০-৬৫ দিনের পর রসের আধিক্য হতে দেয়া যাবে না।

Comments

comments