ঢাকামঙ্গলবার , ১৩ এপ্রিল ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কি নেই ভৈরবে! নকলের ভিড়ে আসল চেনা দায়

প্রতিবেদক
Kolom 24
এপ্রিল ১৩, ২০২১ ৭:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নকলের ভিড়ে আসল চেনা দায় হয়ে পড়েছে ভৈরববাসীর। এমন কোন পণ্য বাকি নেই যার নকল হয় না এ উপজেলায়। কি নেই এখানে! মিলছে নানা ব্র্যান্ডের বিদেশী পণ্য। স্থল, নৌ ও রেলপথ দিয়ে নকল পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয় নকল কারবারিরা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপেও কমছেনা নকল পণ্য উৎপাদন। গত এক মাসে শুধুমাত্র নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণের দায়ে মোট ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জানা গেছে ভৈরব উপজেলার পৌর এলাকা এবং প্রতিটি ইউনিয়নে অসাধু ব্যবসায়ী নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। ভোজ্য তেল, প্রসাধনী, ওষুধ, সিগারেট, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, নকল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, কয়েল, আইসক্রিম, চিপস, সেমাইসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। এসব পণ্যে দেশিয় ছাপাখানা থেকে ছাপিয়ে নেয়া স্টিকার হলোগ্রাম, বারকোড ইত্যাদি বসিয়ে একেবারেই আসলের মত করে তোলা হচ্ছে। কোন কোন পণ্যে বসানো হয় আমদানীকারকের স্টিকারও, যাতে পণ্যটি আমদানী করে আনা হয়েছে বলে ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ রকম চলছে বহু যুগ ধরেই। কেবল অভিযানের পরেই এসব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এমন একটা অবস্থা তৈরী করা হয় সব দোষ ব্যবসায়ীদের। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অনুমোদন ছাড়া নকল পণ্যের ব্যবসায়ীদের অবস্থানও অনেক শক্তিশালী। তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বৈধ ব্যবসায়ীরা। আইনে কিছু মামলা হলেও শাস্তির নজির চোখে পড়ছে না। জেল জরিমানাকে তারা কিছুই মনে করছে না। আইনটি হওয়া উচিত জামিন অযোগ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাজারের বেশিরভাগ পণ্য মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় আসছে না। খাদ্য ও খাদ্য বহিভর্ূত মাত্র ১৮৪টি পণ্যের মান সনদ দিতে পারে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই। এতে ক্রমেই নকল পণ্যের দৌরাত্ম বাড়ছে। দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানির ভেজাল খাদ্যপণ্য এখানে প্রকাশ্যেই বেচাকেনা হয়। বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন ভেজাল শিশু খাদ্যের বিক্রিও চলছে অবাধে।

ভোক্তারা বলছেন, কতৃপক্ষ যদি ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতো, তাহলে আমাদের বিভিন্ন নকল পণ্য নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। এমন পরিস্থিতিতে নজরদারি বৃদ্ধিসহ কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করছি।

ক্যাব কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি আলম সারোয়ার টিটু বলেন, নকল ও ভেজাল রোধে ভোক্তা অধিকার কমিটির মিটিংয়ে সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের নির্দেশনায় গত একমাস যাবত এবং রোজাকে কেন্দ্র করে নকল পণ্য বাবত জরিমানা ও মালামাল জব্দ করছি। যেকোন নকল পণ্য ও ভেজাল খাবারের ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর হস্তে নিবারণ করবে।

Comments

comments