কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার এক তরুণীকে ভারতে নির্যাতনের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যা ইতোমধ্যে সর্বমহলে আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে দাড়িয়েছে।
পরিবার সূত্র জানায়, মগবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন ওই নির্যাতিত তরুণী। ৭ বছর আগে কুমিল্লা জেলার চাঁদপুরে তরুণীর বিয়ে হয়। স্বামী কুয়েত প্রবাসী। তরুণীর স্বামী এক ভাই ৬ বোন।
সূত্র জানিয়েছে, ২৫ বছর ধরে ওই তরুণীর পরিবার ঢাকায় বসবাস করতেন। নির্যাতিত তরুণী প্রায় এক বছর পূর্বে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুজি পর ফেসবুকে তরুণীকে শনাক্ত করে স্বজনরা। নির্যাতিত তরুণীরা দুই বোন ও ১ ভাই।
নির্যাতিত তরুণীর চাচা বলেন, আমার ভাতিজি প্রায় ১ বছর পূর্বে নিখোঁজ হয়। আমরা ফেসবুকে ভাতিজিকে নির্যাতনের ভিডিওটি দেখতে পেয়ে তাকে (ভাতিজি) কে শনাক্ত করি। এই নেক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তরুণীর পরিবার।
ভারতে নির্যাতিত তরুণীর মা বলেন, আমার মেয়েকে যারা অত্যাচার করেছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবি জানাই । সরকারের কাছে আমার এই চাওয়া।
উল্লেখ, ঘটনার মূলহোতা রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনবে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ নারীসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে। বেঙ্গালুরু পুলিশকে বার্তা দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বাংলাদেশি আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এক তরুণীকে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বেঙ্গালুরু পুলিশ বাদী হয়ে দুই নারীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও লাঞ্ছনার মামলা দায়ের করে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এক নারীসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, শেখ মোহাম্মদ বাবা, সাগর ও অখিল। গ্রেফতার দুই নারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
Comments
comments