ঢাকাসোমবার , ১৭ আগস্ট ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব শিগগিরই সব কওমি মাদ্রাসা খুলতে পারে!

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ১৭, ২০২০ ৫:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব শিগগিরই দেশের সব কওমি মাদ্রাসা খোলার বিষয়ে আশ্বাস পেয়েছেন কওমি আলেমরা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

দ্রুততম সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করে তার মতামতের ভিত্তিতে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এবং বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলীসহ কওমি আলেমদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কওমি মাদ্রাসার কিতাব বিভাগ চালুর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কর্মপরিকল্পনার কথা জানাতে এসেছিলেন আলেমরা। সরকারের পক্ষে আমি তাদের আশ্বস্ত করে বলেছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি দলের প্রধান জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সৌহাদ্যপূর্ণভাবে মিটিং হয়েছে। তিনি আমাদের আবেদন, কিতাবখানার সবক ও পরীক্ষা চালু করার পদ্ধতি বিষয়ক প্রস্তাবনা খুব পছন্দ করেছেন। আজই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে কওমি মাদ্রাসা সম্পূর্ণরূপে খোলার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’

বৈঠক শেষে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে কওমি মাদরাসা বন্ধ ছিল, মাদরাসা খোলার ব্যাপারে জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে আমরা গত ২ জুলাই আবেদন করেছিলাম। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে আমাদের জানান, ১২ জুলাই থেকে হিফজ বিভাগ চালু হবে। ওই আবেদনের মধ্যে কিতাব বিভাগ চালু করারও অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। এটা যেহেতু তখন হয়নি। এজন্য আমরা আবার যোগাযোগ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবার একটা আবেদন পাঠালাম।’

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবেদনটি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন। উনি আমাদেরকে বলেছেন, আমি খুব দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করবো।’

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর কারণে দেশের প্রায় ২২ হাজার কওমি মাদ্রাসার ২৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী গত শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ঈদুল ফিতরের পর কওমি মাদ্রাসাগুলোর নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত রাখা হয়।

এর আগে দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানা ১২ জুলাই থেকে চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত ৮ জুলাই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, এসব মাদ্রাসাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানার কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। এসব মাদ্রাসার নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায়ের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে কার্যক্রম চালুর বিষয়ে দেশের আলেমরা আবেদন করেন।

সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানা খোলার অনুমোদন দেয়া হয়।

এরও আগে ১ জুন দেশের কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অফিস খোলার অনুমতি দেয়া হয়।

Comments

comments