ঢাকারবিবার , ২৯ নভেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে আমরা বহুমাত্রিক ব্যবস্থা- দুদক

প্রতিবেদক
Kolom 24
নভেম্বর ২৯, ২০২০ ৮:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি ৮৬ শতাংশ মানুষের আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আজ রোববার (২৯ নভেম্বর) গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার এশিয়া ২০২০’শীর্ষক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ দুদকের প্রতি তাদের আস্থা ব্যক্ত করেছেন।

এ বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক এ জাতীয় প্রতিবেদন সব সময়ই গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে। এখন পর্যন্ত প্রতিবেদনটি আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যালোচনা করিনি। আপনাদের কাছ থেকেই আমরা জেনেছি, দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেছেন।

আমি মনে করি, জনগণের প্রতি দুদকের দায়িত্ব আরো বাড়লো। তাদের এই আস্থা টেকসই করতে হবে। দুদককে নিরবচ্ছিন্নভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ’

তিনি বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে দুর্নীতি শনাক্তকরণ, অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউশন নিখুঁতভাবে করার কোনো বিকল্প নেই। কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণদের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে যে, দুর্নীতি করলে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। কঠোর শাস্তি পেতে হবে।

দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশে এমনকি বিদেশে পালিয়েও শান্তিতে থাকা যাবে না। দুদক পিছু ছাড়বে না। এক্ষেত্রে কারো ব্যক্তিগত পরিচয়, সামাজিক, পেশাগত, ধর্মীয় অন্য কোনো পরিচয়ে কাজ হবে না। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, বিগত প্রায় পাঁচ বছরে আমরা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করেছি। ব্যক্তি আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় ছিল না। আমাদের কর্মপ্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় ছিল অপরাধের ধরন, ব্যাপকতা ও বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান।

জনহয়রানি যাতে না ঘটে, সেক্ষেত্রে অপরাধী শনাক্তকরণে সতর্কতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করেছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তিতে ঘুষ-দুর্নীতির প্রকোপ রয়েছে একথা আমরা কখনও অস্বীকার করি না। তবে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে আমরা বহুমাত্রিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধে কমিশন প্রায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছে’।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, বিগত পাঁচ বছরে ফাঁদ মামলার মাধ্যমে অসংখ্য ঘুষখোরকে ঘুষের টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের কারো কারো বিচারিক আদালতে সাজাও হচ্ছে। গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের কণ্ঠকে উচ্চকিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের অসংখ্য সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা সমম্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে‘।

Comments

comments