ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রওনা হয়েছে রোহিঙ্গা বহনকারী ১০টি বাস। স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা পরিবারকেগুলোকে বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ক্যাম্প থেকে নিয়ে উখিয়া কলেজ মাঠে জড়ো করা হয়। সেখান থেকে এই পর্যন্ত ১০টি বাস রওনা দিয়েছে।
স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উখিয়া ক্যাম্প থেকে তাদের চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নেয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের ভাসানচর নেয়ার কথা রয়েছে।কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌবাহিনীর ১৪টি জাহাজ।
জানা যায়, প্রথম দুই মাস তাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হবে। এরপর নিজ নিজ বাসস্থানেই তারা রান্না করতে পারবেন।এর আগে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম ঘিরে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরের এই দ্বীপ ঘুরে আসে ২২টি এনজিওর প্রতিনিধি দল।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ হবে, শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যন্ত ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ করা।
এর আগে ২ ডিসেম্বর ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরকরণ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ এক বিবৃতি জানায়, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভাসানচরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের কাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শুরু করার সম্ভাবনা বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে জাতিসংঘ অবগত রয়েছে।
ওই স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে, অথবা শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ভাসানচর স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘের কারিগরি কমিটির মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিবৃতিতে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্ধৃতি দিয়েছে।
Comments
comments