ঢাকাশুক্রবার , ৪ জুন ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুন ৪, ২০২১ ৪:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

“২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা প্রস্তাব করা হয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টায় ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বেশি।

‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতির বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা।… এর মধ্যে এনবিআর আদায় করবে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর-বহির্ভূত কর ১৬ হাজার কোটি টাকা ও অন্য কর ৪৩ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে তিন হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা ও আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা।…পরে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে তিন লাখ এক হাজার কোটি টাকা করা হয়। তবে সংস্থাটি ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সংগ্রহ করেছে এক লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকেও সংগ্রহ এক লাখ তিন হাজার ৪১৭ কোটি কম।

অপরদিকে ভ্যাট ফাঁকির জরিমানা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ভ্যাট ফাঁকি দিলে শাস্তি হিসেবে জরিমানা বেশি হবে, এমনটাই প্রচলিত ধারণা। তবে তাতে আস্থা রাখতে চান না অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “জরিমানা দ্বিগুণ নয়, সমপরিমাণ হবে। এতে করদাতা কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সময়ই বলে দেবে।”

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘’আইনে শাস্তি ও জরিমানার বিধান অতিরিক্ত কঠোর করা হলে অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রায়োগিক জটিলতার সৃষ্টি করে এবং স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়। সে কারণে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এ জরিমানা ও সুদের হার কমানোর প্রস্তাব করছি।’’ এজন্য ভ্যাট ফাঁকি, ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে আরোপিত জরিমানার পরিমাণ জড়িত রাজস্বের দ্বিগুণের পরিবর্তে সমপরিমাণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।… পাশাপাশি বকেয়া ভ্যাটের ওপর মাসিক সুদের হার দুই শতাংশের পরিবর্তে এক শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক সুদের হার ২৪ শতাংশের পরিবর্তে ১২ শতাংশ নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

অপরদিকে বাজেটে ন্যূনতম করহার দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ, এক ব্যক্তি কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়। মৎস্য আয় খাতে কর ফাঁকি রোধে এ খাতে করহার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।… এ খাতে বিদ্যমান করহার তিনটি ধাপের পরিবর্তে চারটি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০ লাখ টাকা-পরবর্তী অবশিষ্ট আয়ের ওপর ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৩০ লাখ টাকা-পরবর্তী অবশিষ্ট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ করহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।”…

Comments

comments