উইন্ডিজের বিপক্ষে রয়েছে দুটি টেস্ট। সেটিও ঘরের মাঠে। তাই বাংলাদেশ দলে যে কাউকেই অন্তর্ভুক্ত করতে পারে দলে। কিন্তু নিজেদের কন্ডিশনে এত লম্বা স্কোয়াড় দেয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনা, প্রশ্ন হতেই পারে। এর উত্তর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
মিনহাজুল আবেদীনের মতে, এই করোনা পরিস্থিতিতে যে কেউই আক্রান্ত হতে পারে যেকোনো সময়। এই শঙ্কা মাথায় রেখেই ১৮ জনের স্কোয়াড়।
‘১৮ জনের স্কোয়াড দেওয়া হয়েছে মূলত কোভিড-১৯ মাথায় রেখে। কে কখন অসুস্থ হয় এটা মাথায় রেখেই আমরা স্কোয়াডটা বড় করেছি।‘
যাদের দলে নেয়া হয়েছে তাদের সবাই তো আর সুযোগ পাবে না ম্যাচে। এ নিয়ে নান্নু বলেন, ‘যাদের নিয়েছি তাদেরকে টেস্ট ক্রিকেটের কথা মাথায় রেখেই যে পুল আমরা করেছি বেশিরিভাগকেই রাখা হয়েছে। যারা খেলবে না তারা যেন একটা সিস্টেমে থাকে, টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কাজ করে অভ্যস্ত হয়ে যেন আরও উন্নতি করতে পারে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। এটা মাথায় রেখেই স্কোয়াডটা বড় করা হয়েছে।’
দেশের মাটিতে বরাবরই স্পিনিং উইকেটে খেলানো হয়। এরপরও স্কোয়াডে চার স্পিনারের বিপরীতে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার।
এমন প্রশ্নে নান্নু বলেন, ‘ঘরের মাঠে আমরা যেভাবে খেলি সেভাবেই খেলব। তবে এখনই বলা মুশকিল, ২৪ ঘণ্টা আগে টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশ চূড়ান্ত করবে। কয়টা স্পিনার, কয়টা সিমার নিয়ে খেলবে এটা তখনই সিদ্ধান্ত হবে। আগাম বলা মুশকিল যে কখন কাকে খেলানো হবে।’
দলে বাড়তি পেসার নিয়ে তিনি আরও বলেন, শুধু দেশে খেলা নয়, বিদেশে খেলার কথা বিবেচনা করেই পুল করা হয়েছে।
‘টিমের মধ্যে স্পিনার, পেস বোলার সবাইকেই রেডি রাখতে হয়। কারণ আমরা যখন পুল তৈরি করি তখন কিন্তু শুধু একটা টেস্ট ম্যাচ মাথায় রেখে টিম করা হয়না। এটা সামনের কথা ভেবে, বিদেশের মাটিতে খেলার বিষয় মাথায় রাখা হয়। তারপরও হোম সয়েলে স্পিনারটাই আমরা বেশি খেলি।’
Comments
comments